শরীরের যত্ন নিন, সুস্খতা সাফল্যের পঞ্চম চাবিকাঠি!

শরীরের যত্ন নিন, সুস্খতা সাফল্যের পঞ্চম চাবিকাঠি!

শরীরের যত্ন নিন, কারণ সুস্থ্যতা জীবনে সফলতা লাভের পঞ্চম চাবিকাঠি । দেহ মনের যত্ন নেয়া আর নিজেকে কর্মক্ষেত্রে সুসজ্জিত করে উপস্থাপন করা সুশৃঙ্খল ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা বা নোংরা মানসিকতা যাই বলি না কেন। আপনার সাজ সজ্জা কে বরাবরই বাঁকা চোখে দেখতে অভ্যস্ত। অল্প বয়স্করা সাজলে কেউ কেউ হয়তো ছাড় দেবেন। কিন্তু বেশী বয়স্করা সাজলো আমরা হাজারো মন্তব্য করি। যেমন ঢং দেখে বাঁচি না, এই বয়সে মনে রং লেগেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে সাজ সজ্জার কারণে আমাদের এই, পেছনে লোকে কিছু বলে। এ জাতীয় মন্তব্য একেবারেই মূর্খতার পর্যায়ে পড়ে।

শরীরের যত্ন নিন, সুস্খতা সাফল্যের পঞ্চম চাবিকাঠি!

মনের প্রফুল্লতা ও সজীবতার জন্য শরীরের যত্ন নেয়া সাজ সজ্জা করা গভীর দৃষ্টিকোণ থেকে অতীব প্রয়োজন। নিয়মিত সাজ সজ্জার ফলে মানসিকতা উন্নত থাকে এবং মনে প্রশান্তি আসে। এটা আমাদের কর্ম মুখর জীবনে সফলতার ক্ষেত্রে ব্যাপক ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। মনে আনন্দ বিরাজ করার ফলে সুস্থ মস্তিষ্কে সফলতার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সহজতর হয়। ধরুন, আপনি কোন একটা চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে আপনি একান্ত ভাবেই সাদামাটা পোষাক পরে ইন্টারভিউ দিতে গেলেন। আপনার যতই ভালো প্রস্তুতি থাকুক, ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে এসে কিন্তু আপনি অনেকটা আত্ম বিশ্বাসের অভাব বোধ করবেন। নিঃসন্দেহে বোর্ডের সামনে আপনি নার্ভাস বা অস্বস্তি বোধ করবেন।

শরীরের যত্ন নিন, সুস্খতা সাফল্যের পঞ্চম চাবিকাঠি!

উল্টো বোর্ড সাজ সজ্জা এবং আত্ম বিশ্বাসের অভাবের জন্য আপনাকে রিজেক্ট করে দেবে। অন্য চিত্রে একই বোর্ডের সামনে আপনি পোষাক পরিচ্ছেদে স্মার্টনেস এনে কথিত ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে উপস্থিত হলেন। এখানে আপনার আত্ম বিশ্বাসের কারণে মোটামুটি উত্তর দেবার পরও বোর্ড আপনার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করবেন। যার ফলে আপনার চাকুরী হবার ক্ষেত্রে একটা ইতিবাচক সম্ভাবনা থাকে। যদিও চাকুরী পাওয়া না পাওয়া অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। শরীরের যত্ন নেয়া একটি আপেক্ষিক বিষয়। তারপরও সাজ সজ্জার কারণে জীবনের সফলতায় তা কেমন প্রভাব ফেলছে, উদাহরণে এটাই স্পষ্ট হয়েছে।

নিয়মিত শরীরের যত্ন নিলে দেহ এবং মন সুস্থ থাকে। সুস্থ দেহ, সুস্থ মন একজন মানুষের সার্বিক সুস্থতাকে নির্দেশ করে। যে ব্যক্তি দেহ মনের দিক থেকে সুস্থ তার মধ্যে সব সময় একটা প্রফুল্লতা বিরাজ করে। ফলে মন শান্ত থাকে কাজ কর্মে সর্বাধিক অংশ গ্রহণ নিশ্চিত হয় এবং জীবনের উন্নয়নের গতি পথে গতিশীলতা আসে। তাই জীবনে উন্নতি করতে হলে আগে শরীরের যত্ন নিন। এ ক্ষেত্রে পেছনে কে কি বললো তাতে আপনার কর্ণপাত করার কোন প্রয়োজন নেই। নিজের জন্য বাঁচুন, মনে রাখুন অন্যের সমালোচনায় দগ্ধ হবার জন্য আপনার সৃষ্টি হয়নি।

Leave a Reply