জীবনের প্রয়োজনে, নিজেকে বদলে ফেলতে হলে, বদলে ফেলুন!

জীবনের প্রয়োজনে, নিজেকে বদলে ফেলতে হলে, বদলে ফেলুন!

জীবনের প্রয়োজনে নিজেকে ঢেলে সাজাতে হলে, তাই করুন! এ পরিবর্তনে সাময়িক কষ্ট হলেও, মেনে নিতে হবে! এর ফলে আপনার মধ্যে, সামনে এগিয়ে যাবার জন্য আলাদা শক্তি পাবেন। কারও অপেক্ষায় বসে থেকে সারা জীবন নষ্ট করবেন না। জীবনের জন্য, সময়ের প্রয়োজনে এবং বাস্তব চাহিদাতে, একবার হলেও নিজেকে পরিবর্তন করুন। আপনার যোগ্যতা এবং মুল্য দুটোই আছে, এটা বোঝানোর জন্য হলেও নিজেকে বদলে নেয়া জরুরী। যদি আপনি তা করতে পারেন, তবে এটা হবে সঠিক এবং বাস্তব সিদ্ধান্ত। মনে রাখবেন, পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না ইত্যাদির কম বেশী হতে পারে। একই সাথে স্বাভাবিক জীবন যাত্রার কিছুটা ছন্দ পতনও আসতে পারে!

জীবনের প্রয়োজনে, নিজেকে বদলে ফেলতে হলে, বদলে ফেলুন!

জীবনের ছন্দ পতন আসতেই পারে! এই ভয়ে নিজেকে বদলে ফেলার মানসিকতা থেকে দূরে সরে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নই। যে কোন পরিবর্তনে দীর্ঘ অথবা সাময়িক কষ্ট, সমস্যা হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কষ্ট হলেও তা সহ্য করার মানসিকতা থাকতে হবে। নিজের মধ্যে সহনশীলতা সৃষ্টির দায়িত্বটা নিজেকেই নিতে হবে। নিজেকে সাহস যোগাতে, যে সহে সে রহে, এ কথাটা সব সময় মনে রাখতে হবে। তবে আপনার প্রতি কেউ অন্যায়, অবিচার করলে সেখানে অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে। এখানে শুধু মাত্র নিজেকে পরিবর্তনে সাময়িক কষ্টবোধকে সহ্য করার কথা বলা হয়েছে। কারণ সময়ের সাথে তালে তাল মিলিয়ে এ ক্ষুদ্র কষ্টবোধ এক সময় সহ্য হয়ে যায়।

জীবনের প্রয়োজনে, নিজেকে বদলে ফেলতে হলে, বদলে ফেলুন!

আসলে বাঁধা, সমস্যা বা কষ্ট জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এমন কোন কাজ নেই, যেখানে কষ্ট বা জটিলতা নেই! এমন কোন সম্পর্ক নেই, যেখানে ভাঙ্গা গড়া বা টানা পোড়ন নেই! পারস্পারিক বোঝাপড়া না হলে, মনের মিল না হলে, নিজেকে পাল্টানো জরুরী। নিজেকে বদলে ফেলা মানে, মানসিকতা এবং ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন। আপনাকে কেউ মুল্য না দিলে, এ ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা থাকে না। ধরুন, এক পরিবারের বেকার প্রথম ছেলে সন্তান এবং সে বেকার। তার ছোট ভাই ব্যবসা করে এবং সে সংসারের হাল ধরেছে। বড় ছেলেটির ইচ্ছা একটা ভালো চাকুরীর জন্য সে বেশ চেষ্টা করছে। হয়তো শীঘ্রই সে একটি ভাল চাকুরী পেয়ে যাবে।

জীবনের প্রয়োজনে, নিজেকে বদলে ফেলতে হলে, বদলে ফেলুন!

বড় ছেলে বেকার তাই পরিবার বা সংসারের সমস্যা সমাধানে তার ভূমিকা নেই। যে কোন আলোচনায় কেউই তাকে বা তার মতামতকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। বেকার হলে এমন হওয়া স্বাভাবিক। এসব বিষয়ে সে কারো সাথে মনো মালিণ্যে না গিয়ে নীরবতা পালন করে। এই মৌনতা অবলম্বনই জীবনের প্রয়োজনে নিজেকে বদলে নেয়া। এটা জীবনের বিশেষ কোন ক্ষতি করে না। এই পরিবর্তন অনেক কিছুকে স্বাভাবিক ভাবে নেবার শিক্ষা দেয়। দু একটা ব্যতিক্রম ব্যতীত বর্তমান যুগে ভালোবাসা আসলে স্বার্থপরতার অন্য রুপ। সুতরাং কারও স্বার্থ হাসিল হলেই এমন ভালোবাসায় এক পক্ষ কেটে পরবে। এই সরে যাওয়ায় একজন আগে অন্যজন পরে নিজেকে বদলে নেয়!

কেউ যদি আপনার বন্ধন ছিঁড়ে চলে যায়, তবে তাকে যেতে দিন! শুধু শুধু তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে নিজেকে ছোট করবেন না এবং নিজের কষ্ট বাড়াবেন না। এসব ক্ষেত্রে চেষ্টা করে জীবনের প্রয়োজনে নিজেকে বদলে ফেলুন, ভবিষ্যতে সুখী হবেন। বর্তমানে ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী, স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের কাছে মুল্য নেই। সন্তান বৃদ্ধ পিতা মাতার প্রতি দায়িত্ব পালন করে না। এসব ক্ষেত্রে জীবনের প্রয়োজনে নিজেকে বদলে ফেলা জরুরী। জীবনের জটিলতা গুলো মেনে নিয়ে নিজে স্থির থাকা বুদ্ধিমানের কাজ। খারাপ পরিস্থিতি যদি সৃষ্টিই হয় তবে তার জন্য আফসোস করে লাভ নেই। এখানে নিজেকে পরিবর্তন অর্থ আচরণ এবং মন মানসিকতার পরিবর্তনের বিষয়টি বুঝিয়েছি।

যে কোন কারণে হোক জীবনে চলার পথে ছন্দ পতন আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে নিজের ভারসম্য হারনো ঠিক হবে না। পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে নিজেকে নিজের জীবনের প্রয়োজনে বদলে ফেলতে হবে। এ জন্য তৎক্ষণাৎ সাময়িক কষ্ট হলেও অদুর ভবিষ্যতে আমরা বড় কষ্ট পাওয়া থেকে বেঁচে যাব।

Leave a Reply