স্বামী স্ত্রী প্রকৃত বন্ধুত্বের অপর নাম

স্বামী স্ত্রী একে অপরের জীবন সাথী

স্বামী স্ত্রী একে অপরের জীবন সাথী ও ধর্মের পবিত্র বন্ধন। দু জনের মধ্যে ভাল বোঝাপড়া থাকলে একই সাথে, তারা পরস্পর পরস্পরের খুবই ভাল বন্ধু। স্বামী স্ত্রী যদি একে অপরকে মুল্য দেয়। দু জনের মধ্যে ভাল বোঝাপড়া থাকে তবে সে সম্পর্ক খুবই মধুর হয়। আর যদি স্বামী স্ত্রী এর মধ্যে সব সময় খ্যাঁচম্যাচি লেগে থাকে তবে জীবন নরক মনে হয়। এ সম্পর্কের মধ্যে একাধারে বিশ্বাস, ভালোবাসা, আস্থা এবং বোঝাপড়া থাকতে হয়। পারস্পারিক সম্পর্কের ভিত মজবুত হলে তবেই বৈবাহিক জীবন সুখের হয়। এমন মধুর সম্পর্ক নষ্ট হবার পিছনে স্ত্রীর স্বার্থপরতা, লোভ ও হিংসা বেশী কাজ করে।

স্বামী স্ত্রী একে অপরের জীবন সাথী

যেমন স্বামীর আয় উপার্জনের অতিরিক্ত চাহিদা বা দাবী করা। সুবিধা অসুবিধা না বুঝে কোন জিনিসের জন্য জেদ ধরা। স্বামীর সব কিছু নিজের ভোগ করার মানসিকতা সৃষ্টি করা। বৃদ্ধ শশুড় শাশুড়ী বা অন্য আত্মীয় স্বজনকে দেখতে না পারা ইত্যাদি। তবে স্বামী স্ত্রী এর বন্ধনে একই ভাবে শশুড় শাশুড়ী এবং অন্য আত্মীয় স্বজনের স্বার্থপরতা বা লোভ একই ভাবে কাজ করে। এ সমস্যা গুলো দাম্পত্ব্যের মধুর সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে। যদি কোন দাম্পত্ব্য সম্পর্কের মধ্যে এ সব ঝামেলা না থাকে, তবে সে সম্পর্ক হয় মধুর ও বন্ধুত্বপুর্ণ।

স্বামী স্ত্রী একে অপরের জীবন সাথী

আমারা অল্প, এক এবং এককে তৃপ্ত হতে পারি না। সেই সাথে আছে আমাদের সীমাহীন চাহিদা। তাই অনেকেই কখনও কখনও স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের বাইরে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। সেখানে একে অপরকে ভোগ করার মানসিকতা বিরাজ করে। একই সাথে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেবার লালসা কাজ করে। বর্তমান সময়ে দু একটা ব্যতিক্রম বাদে সব বন্ধুত্বের সম্পর্কে কৌশলগত ভাবে পারস্পারিক লেন দেন জড়িত থাকে। আর ছেলে মেয়ের বন্ধুত্ব হলে সেখানে দৈহিক কামনা বাসনা তো থাকবেই। পান থেকে চুন খসলেই হলো, আমাকে গিফ্ট দেবে না, উপহার দেবে না, ইত্যাদি কত কি। আসলে ছেলে মেয়ে, দুটি বিপরীত লিঙ্গে বিয়ের আগে কখনও বন্ধু হতে পারে না।

স্বামী বা স্ত্রী অসুস্খ হলে এক জন অপর জনের জন্য দিন রাত সমান করে সেবা শশ্রুষা করে। শারিরীক ভাবে অসমর্থ্য স্বামী স্ত্রী একে অপরের হাত ধরে সারা জীবন পাড় করে দেয়। গভীর ভালোবাসা এবং অনুপম বন্ধু না হলে কেউ কখনও অন্যের জন্য এতোটা ত্যাগ স্বীকার করে না। অবশ্য মা বাবার কথা আলাদা। তাই যদি বন্ধুত্ব করতেই হয় তবে সে বন্ধুত্ব বিয়ের পরে স্বামীর সাথেই করা উচিত। কারণ স্বামী স্ত্রী হলো বন্ধুত্বের প্রকৃত বন্ধন।

Leave a Reply