সামাজিক বন্ধনে, আমি কি প্রকৃতই বন্ধু না স্বার্থপর!

সামাজিক বন্ধনে আমি কি আপনার প্রকৃতই বন্ধু, নাকি আমার স্বার্থপরতা!

সামাজিক বন্ধন যদিও একটি যোগাযোগ মাধ্যম ও বন্ধুত্বের সেতু বন্ধন। তারপরও এখানে বন্ধুর ছদ্মবেশে স্বার্থপরতা ও হিংসা লক্ষ্য করা যায়। আমরা অনেকেই সখের বশে, গর্ববোধ করার জন্য বা ক্রেডিট নেয়ার জন্য সোস্যাল মিডিয়ায় হাজারো বন্ধু তৈরী করি। আবার বেশীর ভাগ লোকই শুধুমাত্র যোগাযোগ এবং বিভিন্ন মহৎ উদ্দেশ্যে এ সুবিধা ব্যবহার করেন। সামাজিক দিক থেকে তারা মঙ্গলকামী। যত কথাই বলি না কেন, আমি বা আমরা নিজের স্বার্থে ষোল আনা এবং সুযোগ সন্ধানী। বিভিন্ন ভাবে অনলাইন এটি আয়ের উৎস হওয়ায় ভিজিটর বৃদ্ধি, মন্তব্য ও বহুজনের অংশ গ্রহণ বৃদ্ধির দরকার হয়। কেউ কেউ আবার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে থাকেন।

সামাজিক বন্ধনে আমি কি আপনার প্রকৃতই বন্ধু, নাকি আমার স্বার্থপরতা!

প্রায় তিন চতুর্থাংশ ভাগ ব্যক্তি যারা সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত তাদের উদ্দেশ্য অন লাইন থেকে আয় করার। আর্থিক ভাবে লাভবান, নিজে স্বনির্ভর হবার এ প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানাতে হয়। এমন তো নই, যে প্রযুক্তির এই পরিমন্ডলে আপনিই সেরা আর কেউ নই। তাহলে বরাবরই আপনার মনোভাব, বিচার সবই মানি কিন্তু তাল গাছ আমার, এমন কেন হবে! তার মানে আমরা প্রত্যেকেই, আমাকে এটা দেন, সেটা দেন, আমাকে সবই দেন, এমন স্বার্থ চিন্তা নিয়ে ঘুরছি। এক জন বন্ধু যদি আমাকে কোন ভাবে সাহায্য করেন। তবে আমারও উচিত হবে সাম্ভব্য উপায়ে বন্ধুকে সহায়তা করা। বিনা কারণে ফ্রেন্ড লিস্টের তালিকা দীর্ঘ করা ঠিক না।

কারও মধ্যে যদি পরস্পরকে সাহায্যের মনোভাব না থাকে। বা তাকে সব দিন, জাতীয় মানসিকতা থাকে। তবে সোজা কথায় এমন বন্ধুকে বন্ধুত্বের বলয় হতে ছুঁড়ে ফেলে দিন। কি দরকার এমন স্বার্থপর বন্ধুর যে সব সময় নিজের লাভ দেখে! সব চেয়ে ভালো হয় ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বন্ধুত্বের পরিধি ছোট করার পদক্ষেপ নেয়া। সামাজিক বন্ধনে যে সব বন্ধু নীরব থাকে, তাদের ত্যাগ করুন। অনেকেই এ লেখা পড়ে মনে মনে সাপের মত ফোঁস ফোঁস করবেন নিশ্চিত। তারপরও এখানে তুলে ধরা চিত্রটাই আসল বাস্তবতা। বুকে হাত দিয়ে এমন বাস্তবতা অস্বীকার করার মত সৎ সাহস আমাদের অনেকের মধ্যেই নেই।

সামাজিক বন্ধনে আমি কি আপনার প্রকৃতই বন্ধু, নাকি আমার স্বার্থপরতা!

আর একই সাথে সামাজিক যোগাযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় যেমন তথ্য হাতিয়ে নেয়া, কৌশলে দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে জিম্মি করা। অর্থ আদায়, বিভিন্ন পন্থায় লোভ দেখানোর চেষ্টা, মিথ্যা পরিচয় ধারণ, আপত্তিকর চিত্র প্রদর্শন, নকল করা বাদ দেয়া উচিত। নিম্নমানের বিষয় বস্তু তৈরী করার বিষয়েও একই সচেতনতা থাকতে হবে।

Leave a Reply