চিন্তা করুন সমাধান করার জন্য, ক্ষতি করার জন্য নই!

চিন্তা করুন সমাধান বের করার জন্য, নিজের বা অন্যের ক্ষতি করার জন্য নই!

চিন্তা করুন সমাধান বের করার জন্য, নিজের বা অন্যের ক্ষতি করার জন্য নই! আমরা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সবাই কম বেশী চিন্তা ভাবনা করি। সাধারণত আমরা দুইটি অবস্থার কারণে চিন্তাশক্তির প্রয়োগ করি। এক, কোন কাজ শেষ করা হয়েছে, তা থেকে ফলাফল লাভ নিয়ে ভাবি। অথবা কাজ থেকে আসা ফলাফল আমাদের উপর কত টুকু ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তার ধারণা পাবার চেষ্টা করি। দুই, কোন কাজ শেষ করার পূর্বে, তা থেকে যে ফল আসবে, তা আমাদের জন্য ভালো হবে কিনা। অথবা কোন কাজ সুন্দর ভাবে করার জন্য ছক আঁকি। মজার বিষয় হলো, ভালো কিছুর জন্য আমাদের ভাবনা খুব কমই করতে হয়। আমাদের যত ভাবনা খারাপকে ঘিরে।

চিন্তা করুন সমাধান বের করার জন্য, নিজের বা অন্যের ক্ষতি করার জন্য নই!

অতীত ইতিহাস বলে, শুধু মাত্র অপরিনামদর্শী কাজের ফলে বহু দেশ ও জাতি ধ্বংস হয়েছে। বহু সুন্দর সুন্দর সভ্যতা, স্থাপত্য ও সৃষ্টিশীলতা কালের গর্ভে বিলীন হয়েছে। অকালে এবং অপ্রয়োজনে ঝড়ে গেছে লক্ষ লক্ষ প্রাণ। শুধু মাত্র স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক ভাবনার ফলে জগতে যত হানাহনি, অমঙ্গল এবং ধ্বংস সাধিত হয়েছে। যার ধারাবাহিকতা আজও আমাদের মানব চরিত্রে আছে। তার মানে আমার নিজের কাজ দিয়ে, এখনও আমার নিজের অথবা অন্যের ক্ষতি হতে পারে। যে কোন কাজে হাত দেবার পূর্বে। তার ভালো মন্দ বা ইতিবাচক ও নেতিবাচক, উভয় দিক নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করা উচিত। এতে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেকাংশে কমে যাবে।

একটি কাজ ঠিক কোন ভাবে করলে অর্থ, সময় এবং লোকবল নিয়োগে আপনি লাভবান হবেন। সেই ছকটি ভাবনা চিন্তা এর মাধ্যমে আগেই এঁকে নেয়া উচিত। কাজটি কি ভাবে করলে আপনি সামগ্রিক ভাবে আরও বেশী লাভবান হবেন। সেটা কাজ শুরু করার পূর্বেই ভেবে নিন। আপনার কাজের পরিকল্পনায় অন্যরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখুন। প্রয়োজনে কোন কাজ করার পূর্বে হাজার বার ভাবুন। কাজটির ভাল ও মন্দ দিক গুলো বার বার বিশ্লেষণ করুন। যাতে ভূল সিদ্ধান্তের কারণে পরবর্তীতে আফসোস করতে না হয়। কাজের পূর্বে চিন্তা করে নিলে নিজের ও অন্যের ক্ষতি পরিহার করা সম্ভব হয়।

চিন্তা করুন সমাধান বের করার জন্য, নিজের বা অন্যের ক্ষতি করার জন্য নই!

ভাবনা চিন্তা করে নিজেকে শেষ করে দেবার কোন মানে হয় না। ভাবনাই যদি ভালো না আসে, তবে সে ভাবনা করে দেহ, মনের ক্ষতি করার পথ পরিহার করুন। এতে আপনার মুল্যবান সময় বাঁচবে। আর একান্ত ভাবে প্রয়োজন না পড়লে অতীত নিয়ে চিন্তা ও ঘাঁটাঘাটি না করাই উত্তম। আপনার সামনে সোনালী সাফল্যের অনেক পথ বাকী আছে, এগিয়ে চলুন সেই দিকে। অতীত নিয়ে ভেবে আফসোস নই, বরং সোনালী ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখুন।

Leave a Reply