পরিবারকে সময় দিন, এটা সাফল্য লাভের চতুর্থ চাবিকাঠি!

পরিবারকে সময় দিন, এটা সাফল্য লাভের চতুর্থ চাবিকাঠি!

পরিবারকে যতটা পারেন সময় দিন কারণ এটা জীবনে সফলতা লাভের একটি পূর্ব শর্ত। পরিবারকে সময় দিলে, আপনার মন এবং মেধা সব সময় স্থির থাকবে। ফলে আপনি উন্নতির কক্ষ পথ হতে বিচ্যুত হবেন না। আমাদের বাস্তব জীবন প্রকৃত অর্থে ব্যস্ততার মধ্যে কাটে। জীবিকার প্রয়োজনে প্রায় সবাইকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয়। এখানে আমি সবাইকে না বলে প্রায় বলেছি। কারণ জগতে খুব কম হলেও কিছু লোক আছে যারা উত্তরাধীকার এবং পৈত্রিক সূত্রে অর্থ সম্পদের মালিক। তারা কুঁড়ের বাদশা, নিষ্কর্মা ও অলস জীবন যাপনে অভ্যস্ত। মানুষের সমালোচনা, মাতাব্বরি এবং সমস্যা সৃষ্টি করা নিয়ে তারা সব সময় ব্যস্ত থাকে।

পরিবারকে সময় দিন, এটা সাফল্য লাভের চতুর্থ চাবিকাঠি!

আমাদের সকলের উচিত শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে পরিবারকে কিছুটা সময় দেয়া। পরিবারকে সময় দেয়া কোন দয়া বা অনুগ্রহ দেখানো নই। বরং পরিবারের জন্য কিছুটা সময় ব্যয় আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের অংশ। খুব সহজ অর্থে পরিবারকে সময় দিয়ে, তাদের কিছুটা ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান করতে হবে। ব্যস্ততা ও ব্যক্তিত্বের মুখোশ খুলে ফেলুন। যতটা পারেন মা বাবা, ভাই বোন, স্ত্রী, পুত্র কন্যার সাথে কিছুটা আনন্দ বিনোদন উপভোগ করুন। একই সাথে পরিবারের সদস্যদের সমস্যা, বিপদ, দুঃখ কষ্টে সহানুভূতি দেখান।

পরিবারকে সময় দিন, এটা সাফল্য লাভের চতুর্থ চাবিকাঠি!

এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার মন মানসিকতা ভালো থাকবে। হাসি খুশি মনোভাবের জন্য আপনার সামনে থাকা বিভিন্ন সমস্যা গুলোর সমাধান হবে। পরিস্কার চিন্তা ভাবনার কারণে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে স্বক্ষম হবেন। সব চেয়ে বড় সুবিধা হলো। আপনার মানসিকতা উন্নত থাকার ফলে নতুন করে আপনার দ্বারা জীবনে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হবে না। ফলশ্রুতিতে জীবনে উন্নতির পথে আপনার সার্বিক প্রচেষ্টা বেগবান হবে। পরিবারকে সময় দেয়ার কারণে আপনি সফলতার পথে সব সময় এক ধাপ এগিয়ে থাকবেন।

আমরা সবাই ক্যারিয়ার, উচ্চাকাংখা এগুলো নিয়ে খুব ব্যস্ত। পরিবারকে সময় দিতে পারি না। সমাজের দিকে তাকাতে পারি না। ফলে পারিবারিক বা সামাজিক আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব হয় না। এটা অনেক সময় আত্মঘাতী এবং জীবনের লক্ষ্যের পথে বাঁধা হয়ে যায়। যথা সম্ভব পরিবার ও নিজের কাছের মানুষদের সময় দিন। এটা আমাদের উদ্বেগ হ্রাস করে মনকে শান্ত রাখবে। পারিবারিক ও সামাজিক শান্তি নিশ্চিত হবে এবং জীবনের উন্নতিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।

Leave a Reply